Brand Logo of BreakingNews.com.bd
Popular Builders Company of Bangladesh
Facebook Fan Page
Twitter Fan Page
Google+ Fan Page
Youtube Channel
RSS Feeds of Breakingnews.com.bd

English Version

ঢাকা, সোমবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৮, ০৯:১৬ অপরাহ্ন
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আইন-আদালত
  • অর্থ-বাণিজ্য
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  • শিক্ষাঙ্গন
  • ভারত
  • ৮ বিভাগ
  • রাজধানী
  • ধর্ম
  • শিল্প-সাহিত্য
  • লাইফস্টাইল
  • স্বাস্থ্য
  • রকমারি
  • শিক্ষা
  • সোস্যাল মিডিয়া
  • প্রবাস
  • পরিবেশ-পর্যটন
  • মতামত
  • কৃষি
  • মিডিয়া
  • সাক্ষাৎকার
  • দুর্ঘটনা
  • জেলার খবর
  • সিরিজ বোমা হামলা: খাগড়াছড়িতে ১৫ জেএমবি’র যাবজ্জীবন
  • ‘কর’ বসছে ফেসবুক-গুগলের বিজ্ঞাপনে
  • ‘তারেক রহমান এখন আর বাংলাদেশের নাগরিক নন’
  • উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী লাঞ্ছনা: শিক্ষার্থীদের ৬ দফা
  • গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ডিপ্লোমা পরীক্ষা স্থগিত: হাইকোর্ট
  • বিএনপি নেতা ফারুকের জামিন বহাল
  • ভারতের প্রধান বিচারপতিকে অভিশংসনের নোটিশ খারিজ
  • তারেক রহমানকে বাংলাদেশী পাসপোর্ট দেখানোর আহ্বান
  • দেশের আইন-আদালত চলছে হাসিনার কথায়: মাহমুদুর রহমান
  • বাসে ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টা: মামলা
  • ‘প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছেয় নয়, বীরবেশে দেশে ফিরবেন তারেক’
  • রাজধানীতে বিএনপি-পুলিশ পাল্টা ধাওয়া, ৭ পুলিশ আহত, আটক ৯

বনলতার অলঙ্কার

আহমেদ শামীম
প্রকাশিত : শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭, ১০:৩০
Share
Tweet
বনলতার অলঙ্কার
অঅ-অ+

জীবনানন্দের ‘বনলতা সেন’ কবিতার অলঙ্কার নিয়ে চঞ্চল আশরাফ এবং সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের মধ্যে সাম্প্রতিক মতবিরোধ আমাদের জন্য একটা রাস্তা খুলে দিয়েছে কবিতাটার অলঙ্কার নিয়ে পর্যালোচনা করবার। প্রথমে তাদের মতবিরোধের বিষয়টি এবং সঙ্গে তাদের নিজ নিজ মতের সার অংশ তুলে ধরছি। তারপরে আসব আমাদের প্রস্তাব ও আলোচনায়। সম্প্রতি চঞ্চল আশরাফ ফেইসবুকে ‘পাঠ : বনলতা সেন/২০০৭’ নামে একটা লেখা ছেপেছেন, যেখানে—

“চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে : এতদিন কোথায় ছিলেন?
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।”


‘বনলতা সেন’ কবিতার এই লাইনগুলো তুলে দিয়ে বলেছেন, “বনলতা সেনের এই বর্ণনায় রয়েছে হাইপারবৌল বা অতিশয়োক্তি:…।” সে লেখার উত্তরে সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ বলেছেন, “অতিশয়োক্তি নামে একটা অলঙ্কার আছে, তা পশ্চিমা হাইপারবোলের তরজমা নয়, বা তার ভাবধারকও নয়। এ-দুই অলঙ্কারের কোনো আত্মীয়সম্পর্ক নাই।” আরও বললেন, “[…] হাইপারবোলি বা হাইপারবোল-ও আমি এই রচনাংশে বড় একটা দেখতে পাই নি। […]। এই কবিতাংশে বাক্যগুলির উদ্দেশ্যই হাইপারবোলি-মূলক নয়। এগুলি এক ধরনের প্রলম্বিত লুপ্তোপমা বা উৎপ্রেক্ষা।” প্রত্যুত্তরে চঞ্চল আশরাফ বলেছেন, “ভাষাবিজ্ঞানে হাইপারবৌল টার্মটি বাঙলায় শেষ পর্যন্ত অতিশয়োক্তিই, তবে অত্যুক্তিও বলা যেতে পারে। “তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে” এটাও হাইপারবৌল, কারণ অন্ধকারে কাউকে দেখতে পাওয়া যেমন মুশকিল, তার চেয়ে বেশি কঠিন এবং অসম্ভব ওই অভিজ্ঞতা থেকে তার চেহারার বর্ণনা দেয়া। […। …] এই কবিতা শুরুই হয়েছে হাইপারবৌল দিয়ে: ‘হাজার বছর ধরে আমি পথ  হাঁটিতেছি’…।”

আপাত পাঠে মনে হতে পারে সর্বতই চঞ্চল আশরাফ এবং সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ দুইটা বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন ওই লাইনগুলোতে ব্যবহৃত অলঙ্কার বিষয়ে। কারণ,  চঞ্চল ওই অলঙ্কারগুলোকে বলছেন, হাইপারবোলি বা অতিশয়োক্তি। সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ বলছেন, না হাইপারবোলি বা অতিশয়োক্তি নয়, ওগুলো হল প্রলম্বিত লুপ্তোপমা বা উৎপ্রেক্ষা। তাছাড়া হাইপারবোলি এবং অতিশয়োক্তি এক নয়। সে প্রসঙ্গে চঞ্চল আশরাফ বলছেন ভাষাবিজ্ঞানে হাইপারবৌল টার্মটি বাঙলায় শেষ পর্যন্ত অতিশয়োক্তিই। এদিকে বিষয়টা আমাদের পাঠে যা ধরা পড়েছে তা হল, এক, কোথাও তারা ঠিক আছেন, দুই, কোথাও তারা একটি মিশ্র জিনিসের দুইটা দিক নিয়ে বিরোধে দাঁড়িয়েছেন। মিশ্রণটা তারা ধরতে পারছেন না। তিন, অন্য এক জায়গায় একজন আপাত জিনিশকে আসল ভেবে ভুল করছেন এবং অন্যজন সেটার প্রকৃত রূপ ধরতে পারেন নাই।

আমাদের বিবেচনায় চঞ্চল ঠিক আছেন এখানে, “হাইপারবৌল টার্মটি বাঙলায় শেষ পর্যন্ত অতিশয়োক্তিই।” এবং “এই কবিতা শুরুই হয়েছে হাইপারবৌল দিয়ে : ‘হাজার বছর ধরে আমি পথ  হাঁটিতেছি’…”। অবশ্য এটাকে  অলঙ্কারশাস্ত্রের বক্তব্য বলাই শ্রেয়, যদিও ভাষাবিজ্ঞানে এর চর্চা আছে। আবার গোমেজ ঠিক আছেন, এই বলাতে যে, “এই কবিতাংশে বাক্যগুলির উদ্দেশ্যই হাইপারবোলি-মূলক নয়। এগুলি এক ধরনের প্রলম্বিত লুপ্তোপমা বা উৎপ্রেক্ষা।”

যা হোক, তারা যেটা ধরতে পারছেন না তা হল লাইনগুলোতে  হাইপারবোলিক মেটাফর বা অত্যুক্ত রূপক, এপিক সিমিলি বা মহাকাব্যিক উপমা এবং মেটাফিজিক্যাল সিমিলি বা অধিবিদ্যক উপমার ব্যবহার। লক্ষণীয়, এখানে বাংলা অলংকারশাস্ত্র মতেই, মেটাফর এর বাংলা রূপক, এবং সিমিলির বাংলা উপমা ব্যবহার করা হয়েছে।

আমাদের প্রস্তাব, “চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,/ মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য”-এ হাইপারবোলিক মেটাফর বা অত্যুক্ত রূপক ব্যবহার করা হয়েছে। এটার রূপান্তর করলে হাইপারবোলিক সিমিলি বা অত্যুক্ত উপমা পাওয়া যায়—চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশার মতন কালো। তার মুখের আদল শ্রাবস্তীর কারুকার্যের মত সৌকর্যপূর্ণ। ওই লাইনদুটিতে একই সঙ্গে মেটাফর বা রূপকের যে কাজ—সেই তুলনামূলক চিত্রকল্প সৃষ্টি হয়েছে, আবার হাইপারবোলির যে কাজ—অসম্ভব বাড়িয়ে বলা—তাও হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেগুলো মেটাফর বা রূপকই, কারণ বাড়িয়ে বলার উদ্দেশ্য খোদ মেটাফর বা রূপকের অভিঘাতের ওজন বাড়ানো।

আবার, “অতিদূর সমুদ্রের ’পর/ হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা/ সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি দ্বীপের ভিতর,/ তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে” এটাকে ইংরেজিতে বলা হবে এপিক সিমিলি বা মহাকাব্যিক উপমা। ফলে গোমেজ ঠিক বলেছেন “প্রলম্বিত লুপ্তোপমা”। এরমধ্যে হাইপারবোলি বা অতিশয়োক্তির বিষয় নাই। দুইটা দিশাহীন অবস্থার তুলনা লুকিয়ে আছে—এপিকাল বা প্রলম্বিত চিন্ত্রকল্প দিয়ে। আবার যেমন, “হাজার বছর ধরে আমি পথ  হাঁটিতেছি…” এটা হাইপারবোলি বা অতিশয়োক্তি বলে চঞ্চল ঠিক আছেন, কেননা এখানে অ্যানালজি বা তুলনা নাই—ফলে ঠিক মেটাফর বা সিমিলি না। অবশ্য গোমেজ এটা নিয়ে কোনো কথা বলেন নাই।

এবার আসি, “পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন” লাইনটায়। আমাদের প্রস্তাব এটা মেটাফিজিক্যাল সিমিলি বা অধিবিদ্যক উপমা। এটা “প্রলম্বিত লুপ্তোপমা”ও নয় আবার হাইপারবোলিও নয়। অধিবিদ্যক উপমার ক্ষেত্রে দুই পর্বের দুটি উপমা একটা চূড়ায় গিয়ে এক হওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্বে পাখির নীড় থেকে আশ্রয়ের উপমা, অন্য পর্বে বনলতার চোখ থেকে আশ্রয়ের উপমা। চূড়ান্ত উপমা বা তুলনাটা দুইটা ফিজিক্যাল জিনিসের মধ্যে নয়, তাদের নিজ নিজ উপমাদের মধ্যে। এখন গোমেজ যদি “উৎপ্রেক্ষা” শব্দটি ব্যবহার করে অধিবিদ্যক উপমা বলতে যা আমরা এখানে বললাম তা ইঙ্গিত করে থাকেন তাহলে তার সঙ্গে এ বিষয়ে আমরা একমত হতে পারি। তাছাড়া এখানে হাইপারবোলি প্রাসঙ্গিক নয়, কারণ বস্তু পাখির নীড় মুখ্য নয়, মুখ্য তার উপমা।

পরিশেষে, মেটাফর বলি, সিমিলি বলি আর হাইপারবোলি বলি—মোটা দাগে ওগুলোকে রূপক বলা যায়। কেননা এদের সবার কাজ রূপক অর্থ তৈরি করা। কিন্তু সেটা বললে পুরো বিষয়টার ওপর সুবিচার হয় না। সুবিচার হয় না জীবনানন্দ দাশের উপর। কবি উপমার, রূপকের যে বর্ণিল বৈচিত্র্য সৃষ্টি করেছেন বাংলা ভাষায়—তাকে কেবল মোটা দাগে দেখলে চলবে কেন? আর, এপিক সিমিলি বা মহাকাব্যিক উপমা, মেটাফিজিক্যাল সিমিলি বা অধিবিদ্যক উপমা এবং হাইপারবোলিক মেটাফর বা অত্যুক্ত রূপক বিশ্বসাহিত্যে অপ্রতুল হলেও নতুন কোনো অলংকার নয়। আগ্রহী জীবনানন্দের অনুজেরা একটু খোঁজ নিলেই তা ধরতে পারবেন।

লেখক: সাহিত্য সমালোচক; শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, টেক্সাস ইউনিভার্সিটি (অস্টিন, যুক্তরাষ্ট্র)

ব্রেকিংনিউজ/এমআর

Share
Tweet
শিল্প-সাহিত্য
  • সেনানী সেবা সেলফি সেলামি
  • ‘সুদূরে দিগন্ত’: বাংলার নারীর অবস্থান, স্থিতি ও নির্মোহ মূল্যায়ন
  • শতবর্ষ আসুক ফিরে
  • সংস্কার আর সংস্কৃতের মেলবন্ধন
  • সব কবিরা এক আড্ডায়
  • ময়মনসিংহে কবি আশরাফ মীরের কবিতাসমগ্র'র প্রকাশনা উৎসব
  • বাংলায় বহুল বিতর্কিত শব্দ ‘সৃজন’
  • ক্রিয়াপদের আরেক নাম ছিল ‘আখ্যাত’
  • জীবন ও প্রকৃতির কবি লুসি মাউড মন্টগোমেরি
  • সহোদর সাউ আর সাউকারি
সর্বশেষ খবর
  • সিরিজ বোমা হামলা: খাগড়াছড়িতে ১৫ জেএমবি’র যাবজ্জীবন
  • ‘কর’ বসছে ফেসবুক-গুগলের বিজ্ঞাপনে
  • উইলিয়ামকে আবারও পুত্র সন্তান উপহার দিলেন ক্যাথরিন
  • মন্টে কার্লো মাস্টার্সের শিরোপা নাদালের
  • ‘তারেক রহমান এখন আর বাংলাদেশের নাগরিক নন’
  • বাজে আম্পায়ারিংয়ে হেরেছে সাকিবরা
  • উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী লাঞ্ছনা: শিক্ষার্থীদের ৬ দফা
  • চবিতে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ
  • মালদ্বীপকে উড়িয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
  • শতবর্ষী বলীখেলা বসছে বুধবার
সর্বাধিক পঠিত
  • ঢামেকে মৃত শিশু আজিমপুর কবরস্থানে জেগে উঠলো
  • রাজধানীতে বিএনপি-পুলিশ পাল্টা ধাওয়া, ৭ পুলিশ আহত, আটক ৯
  • স্তন ক্যান্সারের ১০ সত্য জানুন
  • শাহরিয়ার ও দুই পত্রিকার সম্পাদককে তারেকের নোটিশ
  • এক দেশের গালি আরেক দেশের বুলি
  • আজ নাবিলার গায়ে হলুদ
  • ঊর্বশীর সাথে ভারতীয় ক্রিকেটারের প্রেমের গুঞ্জন
  • বাসে ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টা: মামলা
  • সকালেই ঝরলো রাজধানীতে প্রাণ
  • রাজধানীতে আ. লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলি, নিহত ১
আর্কাইভ
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আইন-আদালত
  • অর্থ-বাণিজ্য
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  • শিক্ষাঙ্গন
  • ভারত
  • ৮ বিভাগ
  • রাজধানী
  • ধর্ম
  • শিল্প-সাহিত্য
  • লাইফস্টাইল
  • স্বাস্থ্য
  • রকমারি
  • শিক্ষা
  • সোস্যাল মিডিয়া
  • প্রবাস
  • পরিবেশ-পর্যটন
  • মতামত
  • কৃষি
  • মিডিয়া
  • সাক্ষাৎকার
  • দুর্ঘটনা
  • জেলার খবর
Brand Logo of BreakingNews.com.bd
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: মাইনুল ইসলাম
শারাকা ম্যাক, ২এইচ-প্রথম তলা
৩/১-৩/২ বিজয়নগর, ঢাকা- ১০০০
+৮৮০-২-৯৩৪৮৭৭৪-৫ +৮৮০-২-৮৩৯১৫২৪
news@breakingnews.com.bd
নিউজরুম হটলাইন:-
+৮৮০ ১৬৭৮ ০৪০২৩৮
+৮৮০-২-৮৩৯১৫২৪
bnbd.reporter@gmail.com
bnbdcountry@gmail.com

Copyright 2018 All rights reserved