আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের ৭ দিন আগে থেকে সেনা মোতায়েনের যে দাবি বিএনপি জানিয়েছে তা নাকচ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনে আপাতত সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা নেই। তবে স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম’র মতো প্রযুক্তি আইনানুগভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠেয় দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে একগুচ্ছ সুপারিশ দিয়ে মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে আগামী ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে ভোটের ৭ দিনে আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন, গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে অবিলম্বে প্রত্যাহার, ইভিএম’র ব্যবহার বন্ধ রাখাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি।
বৈঠক শেষে ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিছু প্রস্তাবের বিষয়ে কমিশন আইনানুগভাবে বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছে। কিছু সুপারিশ ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা হবে। বিশেষ করে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ, পর্যবেক্ষকদের নিরপেক্ষতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো।’
ইসি সচিব বলেন, ‘ইভিএম, সেনা মোতায়েন ও বিতর্কিত কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের দাবির বিষয়গুলো নিয়ে পরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বিএনপিকে বলেছে কমিশন।’
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘সেইসঙ্গে ‘বিতর্কিত’পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহারে বিএনপির দাবির বিষয়ে পরবর্তীতে কমিশন সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশীদের নাম না উল্লেখ করে ইসি সচিব জানান, কারো বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি। তবে এ নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি কমিশন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় নির্বাচনেও সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। দলটির ভাষ্য, দলীয় সরকারের অধিনে ইসি স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে না। নির্দলীয়, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সংসদ ভেঙে নির্বাচনকালীন সেনা মোতায়েন দরকার বলে মনে করে বিএনপি। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অবস্থান ঠিক তার বিপরীতে। আর ইসি বলছে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে তারা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের কোনও সুযোগ নেই বলে জানাচ্ছে কমিশন।
ব্রেকিংনিউজ/এমআই/এমআর
Copyright 2018 All rights reserved