চরম অব্যবস্থাপনা ও অনিয়নের মধ্যে চলছে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে এবং লাঞ্ছিত করা হয়েছে রোগীর এক স্বজনকে এমন অভিযোগ উঠেছে।
মৃত দিলজানের মেয়ে ছাবিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন সোমবার পঞ্চগড় জেলার হাড়িভাষা থেকে আমার মাকে চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক হাসপাতালে এনে ভর্তি করাই। কিন্তু চিকিৎসা নিতে এসে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। চিকিৎসা তো দূরের কথা উল্টো নার্সদের লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলার কারণে আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ছেলে ওলিয়ার রহমান জানান, দায়িত্বে থাকা নার্সদের সাথে কথা বলতে গিয়ে আমাকে অপমানিত হতে হয়েছে।
এমন অভিযোগ করেন জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন আবুল কালাম বলেন, গরীব মানুষ যখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। তখন তারা ভাবে আমরা তাদের দাস। জনগণের টাকা খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। কিন্তু তারা আমাদের কিছুই মনে করে না। তাদের অবহেলার কারনে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
শহরের মুসলিম নগর এলাকার বাসিন্দা উম্মে নাজনীন বলেন, আমার মেয়েকে পেটের ব্যাথায় ২৮ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি করাই। কিন্তু সুস্থ না হতেই তাকে রিলিজ দেয়া হয়। পরামর্শ দেয়া হয় কিছু টেস্ট করে আউট ডোরে ওই ডাক্তারকে দেখাতে। সে অনুযায়ী টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে দেখালে ডাক্তার বলেন এ্যাপেন্ডিসাইটের ব্যাথা হয়েছে। অপারেশন করতে হবে। সে অনুযায়ী মেয়েকে পূনরায় হাসপাতালে ভর্তি করাই। কিন্তু ডাক্তার পরের দিন বলেন, অপারেশন করতে হবে না। এটা গাইনি সমস্যা। তাহলে আমরা কোথায় যাব ? এখানে কি চিকিৎসা হচ্ছে ? না কি মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে?
এ ব্যাপারে দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স সালেহা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ওই সময়ে আমি ছিলাম না। তখন ছিল রুপালি আক্তার ও কুলছুম। রুপালি আক্তারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান রোগীর অবস্থা ভালো ছিল না। সে কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। আমাদের দিক থেকে কোনো প্রকার অবহেলা ছিল না।
এ ব্যাপারে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সালমা সুলতানা কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ওয়ার্ডে কোনো রোগীর মৃত্যু হলে তার দায়িত্ব জরুরি বিভাগের নয়।
ব্রেকিংনিউজ/এমজি