‘নো মাস্ক, নো প্যাসেঞ্জার’ এই স্লোগান সামনে রেখে করোনা মোকাবিলায় সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) নগরীর জিইসির মোড়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। তিনি পথচারী ও বাসযাত্রীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
সিএমপি সূত্র জানায়, চারটি জোনকে ভাগ করে ক্রমান্বয়ে এসব মাস্ক বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে উত্তর জোনে বহদ্দারহাট, প্রবর্তক মোড়, অক্সিজেন মোড়, ২ নম্বর গেইট। দক্ষিণ জোনে নিউমার্কেট, টাইগার পাস, নতুন ব্রীজ, আন্দরকিল্লা, অলিখাঁ মোড়। পশ্চিম জোনে বাদামতলী, অলংকার, একেখান, বড়পোল। বন্দর জোনে ইপিজেড মোড়, মইজ্জারটেক, কাঠগড়, সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় মাস্ক বিতরণ করা হয়।
এসময় সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘শীত আসার সাথে সাথে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। জনগণকে করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্ত করতে পুলিশের এই প্রচেষ্টা। সরকারের পক্ষ থেকে মাস্ক পরার উপর জোরদার করা হয়েছে। আমরা গণপরিবহনে, পাবলিক প্লেসে মাস্ক বিতরণ করছি। সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করছি।’
তিনি বলেন,‘মাস্ক পরা নিয়ে জনগণের উদাসীনতার শেষ নেই। খুবই অমূলক অজুহাতে মানুষজন মাস্ক পরতে চায় না। অথচ মাস্ক পরলে শুধু করোনাভাইরাসই নয় বায়ুবাহিত অনেক রোগ থেকেও সুরক্ষিত থাকা যায়’।
এরপর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণপরিবহণে মাস্ক বিতরণ করেন ট্রাফিক সদস্যরা। এছাড়া মাস্ক ছাড়া যাতে গণপরিবহনে যাত্রী পরিবহন না করে সেজন্য চালক-হেলপারদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
এ সময় আকবরশাহ্ থানা ট্রাফিক পরিদর্শক এস এম শওকত হোসেন জানান, করোনা দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে। এর ব্যাপকতা প্রথম বারের চেয়েও অনেক বেশি, তাই আমাদের সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এর প্রতিকার করতে হবে। সকলকে সচেতন হতে হবে এবং আশেপাশের সবাইকে সচেতন করতে হবে। এর ধারাবাহিকতায় রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রী-চালকসহ সবার মাঝে মাস্ক বিতরণ ও সচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
ব্রেকিংনিউজ/এমএইচ