লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে গণপিটুনি দিয়ে আবু ইউনুস মো. সাহিদুন্নবী জুয়েলকে হত্যার পর মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা তিন মামলায় আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৪৪ জন গ্রেফতার হয়েছেন।
শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেলে আমলি আদালত-৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফেরদৌসী বেগমের আদালতে তাদেরকে সোপর্দ করে ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত আগামীকাল রবিবার (৬ ডিসেম্বর) শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের জেলপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের জুয়েল হোসেনের ছেলে মোতাহার হোসেন (২১), একই গ্রামের সহিদার রহমানের ছেলে আমির হোসেন (৩০), বুড়িমারী লাইনেরপাড় গ্রামের জুয়েল রানার ছেলে বিপ্লব হোসেন লিমন (১৯) ও একই গ্রামের বানার উদ্দিনের ছেলে আতিয়ার রহমান পাইয়া (৩৫)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক মাহমুদুন্নবী বলেন, বহুল আলোচিত জুয়েল হত্যায় দায়ের করা হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভবনে হামলার মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তে ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুরের ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা পওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচু ও লুটপাটের মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। রবিবার (৬ ডিসেম্বর) আদালত শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জুয়েল হত্যার ঘটনায় দায়ের করা তিন মামলায় পুলিশ ৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে হত্যা মামলায় ১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। যার মধ্যে মূলহোতা বুড়িমারী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল হোসেন ওরফে হোসেন ডেকোরেটর এবং মসজিদের খাদেম জোবেদ আলীসহ ছয়জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক।
ব্রেকিংনিউজ/এসআই