গাইবান্ধা পৌরসভা নির্বাচনে শনিবার ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় পৌরসভার পূর্ব কোমরনই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ব্যালট ও মালামাল নিয়ে ফেরত আসার সময় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আনওয়ার উল সরওয়ারের কর্মী সমর্থকেরা।
এ সময় তারা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট এবং র্যাবের আরও তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ৫ জন।
৮৮ জনের নাম উল্লেখসহ কয়েকশ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে রবিবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সদর থানায় র্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক এই দু’টি মামলা করা হয়।
র্যাব ও পুলিশ জানায়, দিনভর শান্তিপ্নূ পরিবেশে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আনোয়ার উল সরোয়ার সাহিবের বাড়ি সংলগ্ন ভোট কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা হয়। এসময় ফলাফল সঠিক নয়, দাবি করে ওই প্রার্থীর সমর্থকরা নির্বাচনী সরঞ্জাম ও কর্মকর্তাদের আটকে রাখে। খবর পেয়ে র্যাব-পুলিশ ও ম্যাজিষ্ট্রেট গেলে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময়, র্যাব-পুলিশ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রাটের ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। হামলায় র্যাব, পুলিশ, ডিবি ও ফায়ার সার্ভিসের ১০ জনসহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন আহত হন।
গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, র্যাবের মামলায় ৪১ এবং পুলিশের মামলায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখসহ দেড়শ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
টানা দেড়ঘন্টা সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়। হামলার সাথে জড়িত কেউই ছাড় পাবেনা।
ব্রেকিংনিউজ/এমএইচ