বংশের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হলে আত্ব-অহংকারের চেয়ে অত্যন্ত জরুরি- আত্মনির্ভরশীল হওয়া, এটা যদি ঠিক না থাকে, অর্থাৎ অর্থনীতিতে উন্নতি সাধিত না হলে বংশের ঐতিহ্য, বংশের বড়াই এর মর্যাদা ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে আসে। ঠিক তদ্রুপ এই চড়ানল চৌধুরী বাড়িটি এককালে অর্থনীতি মঙ্গায় খুব নাজুক অবস্থায় পড়ে ছিল, তখনই গ্রামের উৎযোগী ব্যাক্তিদের উদ্যোগে চৌধুরী জাগ্রত যুব কল্যাণ সমিতি নামে ১৯৮৮ইং সনে একটি সমিতি প্রতিষ্ঠা হয়।
মরহুম আবু সাঈদ চৌধুরী (ফরহাদ) পিতা তৈয়ব আলী চৌধুরী তৎকালীন বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাকে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারপর হতেই এই বাড়িটি উন্নয়নের ক্রমান্বয় ধারা ঠিক রেখে পরবর্তীতে উক্ত সংগঠনটি চৌধুরী বাড়ি উন্নয়ন সংস্থায় রূপ ধারণ করে, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে কাজ করে চলেছে। ভৌগোলিক অবস্থানে উক্ত বাড়িটি পাঁচোড়া গ্রামের পরেই অবস্থিত তবে বাড়িটির পশ্চিমে ঈশা খা'র ট্রাক রোড বর্তমানে এই কুমিল্লা - ফকির বাজার, সালদা নদী সিলেট মহাসড়কে অবস্থান করে, সড়ক জনপদের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হতে চলেছে।
পাশেই ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল সড়কের ব্রডগেজ লাইন চলে গেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলা ভূমি উক্ত এলাকাটি। এই গ্রামে আরও অনেক চৌধুরী বাড়ি নামে আছে। তবে, সুনামে ঐতিহ্যে এবং সংস্কারে এই বাড়ির গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের উদ্যোগে এবং জমি দানেই গড়ে উঠেছে অত্র এলাকায় চড়ানল সরকারি প্রাইমারি স্কুল যাহা ১৯৬২ইং সনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে শিক্ষার আলো জ্বলে। বর্তমানে এই স্কুলটি সরকারি অনুদানে বিল্ডিং এর কাজ চলিতেছে যাহা ইতিমধ্যে চর্তুদিক ওয়াল, গেইটসহ, সরকারিভাবে নির্মিত হয়েছে। এবং স্কুলের ভেতর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারও নির্মিত হয়। ঐতিহ্যের ধারক বলা হলে ও এক সময় এই বাড়িতে তেমন কোনো দীঘি ছিল না। কারণ মানুষের হাতে তেমন অর্থ ছিল না। কিন্তু বংশের ধারা ছিল। ইতিহাস থেকে জানা যায়, গাজী নামক এক ধনাঢ্য ব্যাক্তি এই বাড়ির কোনো এক কৈশোরি কে বিয়ে করেন। বিয়ের পর, দেখতে পান এই বাড়িতে স্নান করার মতো কোনো পুকুর বা দীঘি নাই, এমনকি ওজু করার মতন কোনো ঘাটলি নাই। তখন গাজী সাহেবের উদ্যোগেই চৌধুরী বাড়িতে এই প্রথম ১০ একর জায়গায় ঘাটলা সহ দীঘি খনন হয়। আজও চৌধুরী বাড়ির শোভাবর্ধনে এবং নানাহ প্রতিষ্ঠান এই গাজীর দীঘির পাড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে কালের সাক্ষী প্রায় ১০০বৎসর ধরে চৌধুরী বাড়িতে - " গাজীর দীঘি " নামে ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে, উক্ত গাজী সাহেবকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি একজন উচ্চ মনার মানব হিসাবে।
এরপরেই এই বাড়ির গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের ৯০ শতাংশ জমিদানে স্থাপিত হয়, চড়ানল হাছানিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ১৯৭৭ ইং সনে, এই গাজীর দীঘির পশ্চিম পাড়েই। বর্তমানে সরকারি অনুদানে চারতলা বিল্ডিং এর কাজ চলিতেছে। এখানে উল্লেখ্য যে, মাদ্রাসাটি সম্মুখে একটি সরকারি খাল ছিল তা ভরাট করা হয়েছিল। মাদ্রাসার স্থানটি বড়ো আকারে করার লক্ষ্যে এক শ্রেণীর সার্থান্নেষী লোকদের অপচেষ্টায় বর্তমানে বিল্ডিংটি ঠিক মাঝখানে স্থাপিত হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে কোনো বড়ো আকারের মাহফিল, ইসলামী জলসা করার মতো জায়গা রইলো না । এই ধরণের ন্যাক্কার জনক ঘটনা অসামাজিক কিছু লোকের ব্যাক্তিগত সুবিধার জন্য এলাকার জন্য মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হলো।। যা এলাকার সামাজিক লোকের মনোক্ষুনের কারণ সৃষ্টি হলো।। এই দীঘিরপাড়ে দুইজন লোকের দানকৃত জায়গায় সরকারিভাবে প্রথম চড়ানল কমিউনিটি ক্লিনিকটি স্থাপিত যা সরকারি সহায়তায় চলিতেছে।। প্রধান সড়ক হতে এই বাড়িরও ঢোকার রাস্তায় একটি সুরম্য গেইট বীরমুক্তিযোদ্ধা আলমগীর এবং চড়ানল হাছানিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার নামে স্থাপিত হয়। দু'ধারে সবুজ অরণ্যে ফসলের সমারোহে ঠিক পূর্বদিকে বিশাল জায়গা জুড়েই গাজীর দীঘির পাড়ে প্রতিষ্ঠান সমূহ দাঁড়িয়ে আছে, ঠিক যেন ঐতিহ্যের ধারক বাহক হিসাবে কি অপরূপ : গ্রাম বাংলার ছায়া সুনিবিড় এই গ্রামের এই ঐতিহ্যবাহী চড়ানল চৌধুরী বাড়িটি।। ১৯৮৮ ইং সনে বন্যার কবলে পুরোদেশ যখন প্লাবিত ঠিক তার আগেই এই বাড়ির গন্যমান্য ব্যাক্তিগনের সুচিন্তিত একটি গঠনমূলক চিন্তার বহি:প্রকাশে, জনাব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে, একটি কমিটি গঠন করে, একটি সমিতি করার উদ্যোগ নেয়া হয়।
জনাব মরহুম আবু সাঈদ চৌধুরী (ফরহাদ) কে আহবায়ক করে, একটি কমিটি গঠন করা হয়। ঐ বৎসর গাজীর দিঘী বন্যায় প্লাবিত হয়, কারণ গাজীর দিঘী খননের পর, আনুমানিক প্রায় ৬৭ বৎসর এই দিঘী খনন হয় নি এমন কি পাড়ও মেরামত হয় নি। সমিতির লোকজনের সহায়তায় প্লাবনে আসা মাছগুলো বন্দি করা হয়। অত্যন্ত দুঃখ পরিতাপের বিষয় ঐ বৎসরই প্রথম প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। তখন ১৯৮৮ ইং সনে তারই ছোট ভাই জনাব এমদাদ হোসেন চৌধুরী সভাপতি করে কমিটি বহাল রেখে চলতে শুরু করে। ওই বৎসরই গাজীর দীঘির মাছ বিক্রি করে সমিতি অর্থনীতিতে উন্নতি সাধিত হয়। পর্যায়ক্রমে এক একটি উন্নয়নের কাজে হাত দেয়া হয়। প্রথমে বাড়ির ঠিক মধ্যে খানে মসজিদ সংলগ্ন একটি পাকা গেইট নির্মাণ করা হয়। পরে, ২টি টয়লেট ও ২টি পস্রাবখানা পাকা মেরামত করা হয়। ঠিক তখনই সবার মাঝে উন্নয়নের ধ্যান ধারণা বৃদ্ধি পেতে থাকে। পুকুরের পশ্চিম পাড়ে কৃষিকাজে সেচ প্রকল্পের জন্য সরকারি ব্যয়ে একটি গভীর নলকূপ স্থাপিত হয়, এই জায়গা দান করেন এই বাড়ির গন্যমান্য ব্যক্তি রেলওয়ে কর্মরত জনাব তৈয়ব আলী চৌধুরী। পরবর্তীতে সমিতির উদ্যোগে সরকার হতে এই গভীর নলকূপটি কিস্তিতে পরিশোধ এই চুক্তিতে ক্রয় করে সেচ প্রকল্প পরিচালনা করা হয় যা এখনো চলিতেছে। জনাব এমদাদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বেই শক্ত কমিটির সর্বাঙ্গীন সহযোগিতায় উন্নয়নের ধারা একটির পর একটি অব্যাহত থাকে। উনি প্রতি সপ্তাহে একবার ঢাকা হতে নিজ খরচে আসা যাওয়া করতেন শুধু সমিতির উন্নয়নের ধারাঠিক রাখার জন্য। ১৯৮৮ ইং সন হতে ২০০৫ ইং সন পর্যন্ত উনি সভাপতি পদে বহাল ছিলেন ।
জনাব চৌধুরী যখন সমিতির একটি বিশাল অংক ব্যাংকে জমা হয়, ঠিক তখনই মসজিদ সংলগ্ন জনসাধারণের গোসল ও ওযু করার জন্য ৫২ ফুট একটি ঘাটলা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তৎকালীন দক্ষ কমিটির জনাব আবুল চৌধুরী নুরু চৌধুরী জামশেদ চৌধুরী, শাহজালাল চৌধুরী এবং সভাপতি এমদাদ হোসেন চৌধুরী তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা থেকে বড় সিমেন্ট ভর্তি বোঝাই ট্রাক নিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। দ্বিতল বিশিষ্ট একটি ঘাটলা ৫২ ফুট বিশিষ্ট মেরামতের লক্ষে। এখানে উল্লেখ্য যে, ঘাটলা নির্মাণের পর জনাব এমদাদ হোসেন চৌধুরীর নিজস্ব অর্থায়নে মসজিদ যাবার পথে একটি টিনসেড পিলারসহ সেড তৈরী হয়। এই কাজে সহায়তা করেন বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী জাহাঙ্গীর চৌধুরী এবং জার্মান প্রবাসী শাহাদাদ চৌধুরী।। ২০০২ ইং সনে অত্যন্ত ব্যয়বহুল ১০একর বিশিষ্ট গাজীর দিঘী খননের কাজ হাতে নেওয়া হয়। তৎকালীন সময়ে এই দিঘী খননে প্রায় ২ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, এই সমিতি গঠন হওয়ার পর একই পরিবারের তিন ভাই – এ উক্ত বাড়ি উন্নয়নে একের পর এক সভাপতি পদে বহাল ছিলেন,
(১) আবু সাঈদ চৌধুরী (ফরহাদ)
(২) এমদাদ হোসেন চৌধুরী
(৩) আজাদ হোসেন চৌধুরী/ পিতা/ তৈয়ব আলী চৌধুরী
বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর, এমদাদ উনি আমেরিকায় ২০০৫ ইং সনে ডিসেম্বরে চলে যান। তারপর উনার বড় ভাইকে বাড়ির গন্যমান্য ব্যক্তিরা সভাপতি পদে বহাল করেন ২০০৬ ইং সনে আজাদ চৌধুরীর অকস্মাৎ মৃত্যুর পর অদ্যবধি সমিতির সভাপতি পদ এখনো খালি রয়েছে, তবে কমিটির অন্যান্যরা সৎ এবং নিষ্ঠাবান বলে সমিতির কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত হচ্ছে না।
জনাব আজাদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বেই চৌধুরী বাড়ি কমপ্লেক্স পূর্ণাঙ্গরূপে প্রতিষ্ঠিত হয় । একাজে সম্পূর্ণ সহায়তা করেন ১/ সাহাদাদ চৌধুরী ২/ সোয়েব চৌধুরী ৩/ নুরুর চৌধুরী ৪/ আহাদ চৌধুরী ৫/ হাছান চৌধুরী ৬/ মেহেদী হাসান চৌধুরী সমিতির সব কর্মই রেসুলেশান এর মাধ্যমে হতো । আমাদের শক্ত উপদেষ্টা কমিটি ছিল উপদেষ্টা কমিটি/ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মাহফুজ চৌধুরী, লাল মিয়া চৌধুরী, হামিদ আলী চৌধুরী, মরহুম খোকন চৌধুরী। তারপর জার্মান নিবাসী জনাব সাহাদাদ চৌধুরীর নেতৃতে ¡বাড়ির প্রথম কবরস্থান বাউন্ডারি ওয়াল করার সিদ্ধান্ত হয়। ইটালী প্রবাসী এবং দেশে অবস্থানরত মানুষের সহায়তায় বাড়ির চতুর্দিকে সুরম্য ওয়াল নির্মিত হয়। উক্ত কাজে মোটা অংকের ডোনেশন প্রদান করেন জার্মান প্রবাসী জনি চৌধুরী, নিউইয়র্ক প্রবাসী এমদাদ হোসেন চৌধুরী, জনাব মিল্টন চৌধুরী এবং ইটালী হতে আবুল চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি ডোনেশন কালেকশন হয় যেখানে ঘুমিয়ে আছেন আমাদের বাড়ির গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এই কাজে সহায়তা করেন। সোয়েব চৌধুরী, মরহুম আহাদ চৌধুরী, মেহেদী চৌধুরী আরো অনেকেই। এই বৃহৎ ঘাটলাকে আরো শোভাবর্ধনের উদ্যোগ নেয় জনাব এনামুল কবীর মিল্টন । তাকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করেন জনাব মেহেদী হাসান চৌধুরী এবং মরহুম আহাদ চৌধুরী/ উক্ত কাজে মিল্টন নিজ উদ্যোগে অর্থসংগ্রহ করে, ঘাটলা কে সম্পূর্ণ টাইলস করে মনোরম সুন্দর্যে রূপান্তর করেন। ঘাটলার উপরে একটি বাথরুম এবং বারান্দা সহ প্রায় ৫২ ফিটের একটি গেস্ট হাউস আছে যা এখন লাইব্রেরি তৈয়ার করা হয় ।
কক্ষটির ভেতর প্রায় ৫০ জন লোকের জন্য একটি বড় টেবিল এবং চেয়ার রয়েছে এবং বই রাখার সেলফও রয়েছে। এ কাজে সহযোগিতায় জনাব মিল্টন চৌধুরী। এই বাড়ির অত্যন্ত আকর্ষণীয় চড়ানল দক্ষিণ পাড়া ইসলামিয়া জামে মসজিদ। এই মসজিদের জায়গাটি সরকারিভাবে ওয়াকফ করে দান করে এই বাড়ির গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। এই মসজিদটি প্রথম আব্দুল মতিন চৌধুরীর নেতৃত্বে তৈরী হয় সেই সময় একটি মোটা অংকের ডোনেশন দান করেন এই বাড়ির সৌদি প্রবাসী সাহাবুল আলম চৌধুরী। এই মসজিদটি যখন পুনরায় মেরামত হয় তখন বর্তমানে নিউইয়র্ক প্রবাসী এমদাদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে কাজ শুরু হয় । একটি জুম্মায় শুক্রবারে দেশি এবং প্রবাসীর অঙ্গীকারক্রমে প্রায় ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন এমদাদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে ১টি মোটা অংক সংগৃহিত হয় । এই ব্যাপারে ইটালী প্রবাসী হতে অর্থ সংগ্রহ এবং লন্ডন প্রবাসী জনাব জাহাঙ্গীর চৌধুরী মোটা অংক দান করেন । মসজিদের শোভা বর্ধনে ব্যাপক কাজ করেন, এমদাদ হোসেন চৌধুরী সেই সময় উনার নেতৃত্বে উক্ত মসজিদে প্রথম কার্পেট, একটি বিশাল ঝাড়, প্রয়োজনীয় ফ্যান এবং পরবর্তীতে প্রায় ১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পুরো কমপ্লেক্সসহ ডিস্টেথার রং করা হয় । এবং মরহুম আজাদ চৌধুরী এবং আহাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে এ কাজ সম্পন্ন হয় । মসজিদে প্রথম তালার সবগুলো একটি রকম ফ্যান এমদাদ চৌধুরী দান করেন করে তার একান্ত ববু ফ্যান ইন্ডাস্ট্রি হতে। যা এখনো সচল রয়েছে।
২০১৯ ইং সনে আমাদের গাজীর দীঘিকে লিজ দেয়া হয় ৫ বৎসরের জন্য। বিনিময়ে প্রায় নয় লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে পুকুরের উত্তর পাড়, পশ্চিম পাড় ত্রিয়দংশ এবং পূর্ব পাড় ত্রিয়দংশ রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়, উক্ত কাজ পরিচালনা করেন জনাব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সোয়েব চৌধুরী, নুরু চৌধুরী, আহাদ চৌধুরী, খুরশিদ চৌধুরী, হোসেন চৌধুরী, লাল মিয়া চৌধুরী এবং আরো অনেকে। ২০২০ ইং সনে আকস্মিক বিশ্বব্যাপী করোনায় হঠাৎ থমকে যাওয়ায় আমরা এই সমিতির উদ্যোগেই প্রবাসী এবং দেশী সবার সহযোগিতায় দুঃস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাড়াই প্রায় তিন বার ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ত্রাণ বিতরণ করি। এই সমিতি, উপযুক্ত মেয়ের বিয়েতে যাদের অর্থ নেই, এবং ছাত্রদের পড়াশুনা, এবং পরীক্ষার ফী দিতে অসমর্থ হলে দানে এগিয়ে সহায়তা করে আসছি। আমরা এই পর্যন্ত আমাদের সংগঠন চৌধুরী বাড়ি উন্নয়ন সংস্থার অধীনে সরকারি সাহায্য ব্যাতিত প্রায় ৭০ লক্ষ মতো কাজ করেছি। আমাদের আয়ের উৎসই ছিল মাছ চাষ সেচ প্রকল্প এবং হৃদয়বান, সামর্থবান, দেশী বিদেশী প্রবাসীর সহায়তায় এক উন্নয়নের মহাসড়কে গ্রাম পর্যায়ে, পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। আমরা প্রত্যেকের আলোচনার ভিত্তিতেই পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করি।
ভবিষ্যতে আমাদের মেধা পরিকল্পনায় দিঘীর উত্তর পাড়ে প্রায় ১০ ফুট জায়গা নিয়ে শিশুদের চিত্ত বিনোদনের জন্য শিশু পার্ক এবং বয়স্কদের বিনোদনের বসার ব্যবস্থা করার ইচ্ছা পোষণ করছি । শুধু তাই নয়, যেহেতু গাজীর দিঘী বড় সেখানে প্যাডেল স্টাইল নৌকা ছেড়ে বিনোদনের মাত্রা যোগ করবো। শুধু তাই নয়, পার্কের দুই পাশে একটি কনভেনিয়ান স্টোর এবং একটি ক্যাফে করার পরিকল্পনাধীন। আমরা বর্তমান সরকারের উন্নয়নের মহাসড়কের সাথে যোগ করে গ্রাম পর্যায়ে উক্ত বাড়িটি একটি আধুনিক গ্রামে রূপ দিতে চাই।
ব্রেকিংনিউজ/এমএইচ