দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরণের চালের দাম কেজিতে অন্তত ২-৩ টাকা করে বেড়েছ। ফলে এই দুটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে ভোগান্তিতে ক্রেতারা। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে টানা দুই সপ্তাহ ধরে চাল ও তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি ছাড়াও রাজধানীর খুচরা ব্যবসায়ীরাও একই তথ্য দিয়েছেন।
টিসিবি বলছে, পাইজাম ও লতার দাম বেড়ে ৫৫ টাকা হয়েছে। যদিও এর আগের সপ্তাহে এই দুই ধরণের চালের দাম বেড়ে ৫৪ টাকা হয়েছিল। এছাড়া গত সপ্তাহে মোটা বা স্বর্ণা ও চায়না ইরি চালের দামও বেড়ে হয়েছে ৪৮ টাকা।
খুচরা ব্যবসায়ীর বলছে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরণের চালের দাম কেজিতে অন্তত ২-৩ টাকা করে বেড়েছে। ৫২-৫৩ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মাঝারি মানের পাইজামের দাম বেড়ে ৫৫-৫৬ টাকা হয়েছে। নাজির ও মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৭-৬২ টাকায়, যা আগে ছিল ৫৫-৬০ টাকার মধ্যে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী ফরিদুল জানান, দুই সপ্তাহ ধরে চালের দাম বেড়েই চলেছে। মাঝারি মানের চালের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকন চালেও দাম বেড়েছে।
জসিম নামের আরেক ব্যবসায়ী জানান, বাজারে মোটা চাল নেই। সম্ভবত চালের সঙ্কটের কারণেই মাঝারি ও চিকন চালের দাম বেড়েছে।
এদিকে তেলের দাম নিয়ে টিসিবির জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা হয়েছে, যা আগে ছিল ৯৮ থেকে ১০০ টাকা। ৫ লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে ৫০০-৫৩০ টাকা হয়েছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৯০-৫২৫ টাকা। বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে হয়েছে ১১০-১২০ টাকা। এছাড়া বাজারে খোলা পাম অয়েলের দামবেড়ে ৯১-৯২ টাকা হয়েছে। যা আগের সপ্তাতে ছিল ৮৬-৯১ টাকা। সুপার পাম অয়েলের দাম বেড়ে ৯৪-৯৬ টাকা হয়েছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯১-৯৪ টাকা।
ব্রেকিংনিউজ/বিবি/এসআই