গ্রামেগঞ্জে বাড়ির আনাচে-কানাচেই দেখা মেলে কচু গাছের। শহরাঞ্চলের বাজারগুলোতে কচু শাকের দাম বেশি হলেও গ্রামে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় কচু শাক। সবুজ শাক-সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পুষ্টিসমৃদ্ধ হচ্ছে কচু শাক।
কিন্তু হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় বলে গ্রামের লোকদের কাছে এই কচু শাকের গুরুত্ব খুব একটা নেই। কচু শাককে অনেকটা অবহেলার দৃষ্টিতেই দেখা হয়।
অথচ এই কচু শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। এমনকি শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণেও কচু শাকের জুড়ি মেলা ভার।
কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, চর্বি, লৌহ, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন-২, ভিটামিন ‘সি’ ও ৭৭ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি থাকে।
এছাড়াও কচু শাক খেলে চোখের জ্যোতি বাড়ে। শরীরে তৈরি হয় বাড়তি শক্তি। কচু শাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক।
কচু শাক ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়, হজম শক্তি বাড়ায় এবং যেকোনও ধরনের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
যাদের রক্তস্বল্পতা আছে তারা নিয়মিত কচু শাক খেতে পারেন। কারণ কচু শাকে থাকা আয়রণ রক্তশূন্যতা পূরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
একইসঙ্গে কচু শাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। গবেষকরা জানিয়েছেন, নিয়মিত কচু শাক খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। এছাড়া স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধেও কচু শাক অনেক কার্যকর।
ব্রেকিংনিউজ/এমআর