বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাত আনার প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে করা রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনান করেন অ্যাড. আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খামন কলি। এছাড়া দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ বিষয়ে আরও শুনানি এবং আদেশ দেয়ার জন্য আর রবিবার দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।
জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি অ্যাড. আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীন নন্দী দাস এ রিট করেন। রিটে মুসা বিন শামসেরসহ অন্যদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশের ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিবাদীদের চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তার কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এই সঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীত এবং বর্তমানে এ ধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়নে পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে প্রকাশ করে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারির আবেদনও করা হয় রিট পিটিশনে।
ব্রেকিংনিউজ/এসআই
