বয়সকে কেউ বেঁধে রাখতে পারে না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে বয়সের সেই ছাপ পড়বেই। কিন্তু অকালে বুড়িয়ে যাওয়া কেইবা সহ্য করতে চায়। অথচ আজকাল অল্প বয়সেই চুলে পাক ধরা একটি গা-সওয়া বিষয় হয়ে উঠেছে। কালো চুলের ফাঁক দিয়ে মাথা উঁচু করে উঁকি মারছে সাদা সাদা চুলগুলো। আয়নার সামনে দাঁড়াতেই চুলের কারণে নিজের চেহারার প্রতি বিরক্তি তৈরি হচ্ছে। আবার কেউ কেউ চুলে পাক ধরাকে আমলেই নিচ্ছে না।
অল্প বয়সে চুল পাকা ঠেকাতে দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে। হরেক রকম শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহারেও সমস্যার সমাধান কিছুতেই হচ্ছে না। এমনকি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েও কোনও কোনও ক্ষেত্রে কাজ হচ্ছে না। চুল পাকার দুশ্চিন্তায় কারও কারও চুল পড়াও শুরু হয়েছে।
মাথার চুল নিয়ে এই যখন অবস্থা তখন এ থেকে নিস্তার পাওয়ার উপায় কি? বলা হয়ে থাকে, যেখানে সমস্যা সেখানেই সমাধান। মূলত পরিবেশ দূষণ, খাদ্যাভাস, অধ্যাধিক মানসিক চাপ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে অল্প বয়সে চুল পাকে। আবার জেনেটিক কারণেও সময়ের আগেই চুল পাকতে পারে।
চুল কালো রাখতে এত এত দৌড়ঝাঁপের মাঝে কেউ যদি হঠাৎ এসে বলে- চুলে মাখুন সরিষার তেল, সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে কি তা-ই বিশ্বাস করবেন। যদিও ঝলমলে কালো চুল পেতে প্রাকৃতিক উপাদানেই ভরসা রাখা উত্তম। আর সেটাও হতে পারে ঘরোয়া উপায়ে।
সরিষার তেলে কালো চুল: সরিষার তেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। চুলের ফলিকল ও চুলের জন্য প্রাকৃতিক ফ্যাটি অ্যাসিড খুব উপকারী। এছাড়াও জীবাণু ও সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সরিষার তেল খুবই কার্যকরী।
ব্যবহার বিধি: দুই কাপ সরিষার তেল, এক কাপ নারকেল তেল, মেথি গুঁড়া আধা কাপ একসঙ্গে মিশিয়ে এক সপ্তাহ রেখে দিন। সপ্তাহে দুদিন এই তেল মেখে আধঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এভাবে একমাস করুন। তাতে নিজের চুল দেখে আত্মবিশ্বাস কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
তবে সরিষার তেল কিংবা মেথি গুঁড়া দিয়েই যে চুল কালো করা যাবে তা নয়- বাদাম, ডিম, দুধ, মাছ ও সবুজ শাক-সবজি খাওয়াও এজন্য খুব প্রয়োজন।
ব্রেকিংনিউজ/এমআর