রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুতির ঘটনা বাংলাদেশে অনুরূপ পরিস্তিতি সৃষ্টি করেছে। তারা বাংলাদেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুতির ঘটনা বাংলাদেশে অনুরূপ পরিস্তিতি সৃষ্টি করেছে।’
স্থানীয় সময় সোমবার (২ ডিসেম্বর) স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে জাতিসংঘের আয়োজনে দুই সপ্তাহব্যাপী জলবায়ু সম্মেলন কনফারেন্স অফ দা পার্টিজ (কপ২৫)-এর সাধারণ গোলটেবিল আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১১ লাখ রোহিঙ্গার উপস্থিতি পরিবেশগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা কক্সবাজারে একটি পরিবেশগত ও সামাজিক ক্ষতির অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বন, পাহাড়, জীববৈচিত্র্য এবং স্থানীয় জীবন-জীবিকার ক্ষতি করেছে।’
পরিবেশের আরও অবনতি রোধকল্পে প্যারিস চুক্তির সকল ধারাসহ প্রাসঙ্গিক বৈশ্বিক চুক্তি ও প্রক্রিয়া বাস্তবায়নেও বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘পরিবেশের আরও অবনতি রোধকল্পে আমাদের প্যারিস চুক্তির সকল ধারাসহ প্রাসঙ্গিক সকল বৈশ্বিক চুক্তি ও প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্যারিস চুক্তিতে ‘অভিন্ন কিন্তু পৃথকিকৃত দায়িত্ব’-এর নীতির ভিত্তিতে বিশেষ পরিস্থিতি এবং স্বল্পোন্নত দেশসমূহ ও ‘বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহ’-এর প্রয়োজনকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। জলবায়ু অর্থায়নের প্রত্যেক সরবরাহ প্রক্রিয়ায় এই স্বীকৃতি মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ব্যর্থতার ফলাফল সকল দেশের ওপর সমান ভাগে, বিশেষ করে যেসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বেশি দায়ী তাদের ওপর বর্তাবে এবং আমাদের নিষ্ক্রিয়তা প্রত্যেক জীবিত মানুষের জন্য হবে মারাত্মক।’
ব্রেকিংনিউজ/ এসএ