বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম আগামী ৩০ জানুয়ারি হওয়ার কথা রয়েছে। আর ওই দিন এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য মঞ্চ।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
সমাবেশে বক্তারা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে ছয়টি দাবি তুলে ধরে বক্তব্য দেন। তারা বলেন, বিগত দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতি পরিলক্ষিত হওয়ায় তা প্রমাণিত। এছাড়া বর্তমানে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ে জামুকা কর্তৃক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নানা ধরনের তথ্য পরিবেশন করা হয়। যা এক ধরনের হয়রানি ও বিভ্রান্তিকর।
যুদ্ধ চলাকালীন কমান্ডার, পরীক্ষিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের যারা প্রচলিত নিয়ম অনুসারে ভারতীয় তালিকা, মুক্তিবার্তার তালিকা, প্রকাশিত গেজেট এবং স্বাক্ষরিত সনদ রয়েছে তাদেরকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে যাচাই-বাছাই করার মানে হল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী কাজ।
গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, থাকলে তা যাচাই করে তাদের গেজেট বাতিল করার দাবিও জানানো হয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়টি অত্যন্ত অপমানজনক এবং দুরভিসন্ধিমূলক। ভারতসহ বিশ্বের সকল দেশ তাদের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য স্ব স্ব প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশেই বীর মুক্তিযোদ্ধা তথা তাদের পরিবার রক্ষণাবেক্ষণ সুনির্দিষ্ট কোনও নীতিমালা নেই।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, জেলা কমান্ড, কমিটি গঠন করে মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় খুলে দিতে হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ৫০ বছরপূর্তি পালন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সমগ্র জাতির কাছে তুলে ধরতে হবে।
সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি রুহুল কবির মজুমদার আগামী ৩০ জানুয়ারি দেশের সকল জেলা-উপজেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মুক্তিযুদ্ধ ঐক্য মঞ্চের সভাপতি রুহুল আমিন মজুমদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন জালালসহ অনেকে।
ব্রেকিংনিউজ/এএইচএস/এসআই