আজ ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগেরে সহযোগী সংগঠন সেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের
সম্মেলন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে পাশে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মেলন হলেও নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলনে।
ইতোমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা। সম্মেলনের মাধ্যমে পুরাতন নেতৃত্ব বাদ পড়ে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসবে। তবে যারা অপকর্ম সঙ্গে যুক্ত, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে তারা কোনো ভাবেই নেতৃত্বে আসতে পারবে না। তবে নেতৃত্বের শেষ বেলায় এগিয়ে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের উত্তরে সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান। তিনি ৯০ দশকে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের পরপর তিনবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগরেও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ যাত্রায় আরও এগিয়ে রয়েছেন স্বেচ্চাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল। তিনি ব্রেকিংনিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন পর স্বেচ্ছাসেবক লীগে সম্মেলন হতে যাচ্ছে। আমরা এই সম্মেলনকে স্বাগত জানাই। আমরা যারা দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যাদের ইমেজ ক্লিন, শুদ্ধি অভিযানের মতই যাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুদ্ধ তারাই নেতৃত্বে আসুক। তাহলে শুদ্ধ রাজনীতির চর্চা পুনরায় শুরু হবে।
সম্মেলনে ঘিরে আলোচনায় রয়েছেন মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লায়ন আব্দুল লতিফ। তিনি বৃহত্তর মোহাম্মদপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ৯০ এর গণ আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করায় বিভিন্ন সময় অত্যাচার নির্যাতনের শিকারও হন আব্দুল লতিফ।
সম্মেলনে প্রার্থীতার প্রসঙ্গে আব্দুল লতিফ ব্রেকিংনিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে যোগ্য মনে করে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিবেন, আমরা তাকেই মেনে নিব। নির্লোভ-ত্যাগী, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সর্ম্পক রয়েছে যাদের তাদের মধ্য থেকেই নেতৃত্ব আসবে বলে আশা করছি।
নেতৃত্বের দৌড়ে আরও এগিয়ে রয়েছেন মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসহাক মিয়া। তিনি ছাত্র রাজনীতির অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন আওয়ামী লীগের দুঃসময়। যখন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে ছিলো। এজন্য তাকে প্রতিপক্ষের হাতে অত্যাচার নির্যাতন ও হামলা-মামলারও স্বীকার হতে হয়েছে।
ইসহাক মিয়া ব্রেকিংনিউজকে বলেন, আমাদের সময় ছাত্র রাজনীতি এত মসৃণ ছিলো না। বিরোধী দলে থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়েছে। এ কারণে নির্যাতনের স্বীকারও কম হইনি। স্বেচ্ছাসেবক লীগে তারাই দায়িত্বে আসুক যাদের ক্লিন ইমেজ, দলের জন্য ত্যাগ রয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন বলে আমি মনে করি।
এছাড়াও আরও আলোচনায় রয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী, প্রচার সম্পাদক দুলাল হোসেন।
সম্মেলনের বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ব্রেকিংনিউজকে বলেন, সম্মেলন ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ একটি সুসংগঠিত সংগঠন দক্ষ-ত্যাগী ও পরীক্ষিতরাই এই সংগঠনের নেতৃত্বে আসবে।
ব্রেকিংনিউজ/ আরএইচ/ এমজি