এমসিকিউ পদ্ধতিতে মেধার সঠিক মূল্যায়ন হয়না উল্লেখ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান বলেন, অনেক সময় এমসিকিউ পদ্ধতিতে ধারণার ভিত্তিতে উত্তর দিলেও সঠিক হয়ে যায়। এতে মেধার সঠিক মূল্যায়ন হয়না। এবার বহুনির্বাচনীর সাথে এসএকিউ (লিখিত) পদ্ধতি সংযোজন করা হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের লেখার দক্ষতা কেমন আমরা বুঝতে পারবো।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনে কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এসময় ভর্তি পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নেগেটিভ মার্কস আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নেগেটিভ মার্কিং আছে কিনা আমি বলতে পারবোনা। ভর্তি পরীক্ষা প্লানিং কমিটি এ বিষয়ে বলতে পারবে এবং শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা শেষেই দেখতে পারবে নেগেটিভ আছে কিনা।
ছাত্র সংগঠনগুলো হেল্প বুথ বসাতে পারবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, আমরা কোনো ছাত্র বুথ বসাতে সংগঠনকে অনুমতি দেইনি। কারণ অনেকে বলবেন সরকারী দলকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হেল্প ডেস্কের ব্যবস্থা আছে। এদিকে জালিয়াত চক্রের কোনো প্রলোভনে না পড়তেও অভিভাবকদের অনুরোধ করেছেন উপাচার্য।
তবে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, অনুমতি না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, সিলসার মতো সংগঠনের হেল্প ডেস্ক রয়েছে।
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ও বুথ বসানোর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, এবার বুথ বসানোর কোনো অনুমতি নেই। তাছাড়া,শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ, র্যাবসহ আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর আছে। কোনো ধরনের জালিয়াতি ধরা পড়লে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ সময় ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে উপাচার্যের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মোঃ জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর এমএ বারী, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর লায়লা আরজুমান বানু, প্রক্টর প্রফেসর লুৎফর রহমান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর প্রভাষ কুমার কর্মকার।
ব্রেকিংনিউজ/এম