প্রযুক্তির এই কালে স্থিরচিত্র নিয়ে মুন্সিয়ানার শেষ নেই চিত্রগ্রাহকদের। অত্যাধুনিক ক্যামেরায় মহাকাশ কিংবা মহাসাগরের চোখ ধাঁধানো ছবি এখন সহজেই উঠে আসে সেই সাথে সফটওয়্যারের ঘষামাজা তো চলেই। অবশ্য ছবি সম্পাদনার এই সহযোগিতা ছাড়াও কেবল ধৈর্য আর জহুরী চোখে উঠে আসে এমন কিছু চিত্র যা অবাক করে দেয় বিশ্বকে।
লন্ডনের রয়াল অবজারভেটরি প্রতি বছর বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে চমৎকার ছবিগুলো বাছাই করে৷ এগুলো নিয়ে প্রতিযোগিতাও হয়৷ এখানে দেখেনিনি সেখান থেকে বাছাই করা সাতটি অসাধারণ ছবি৷
একটা গ্রহের জন্ম
২০১৯ সালের মে মাসে চিলি থেকে ফটোগ্রাফার মার্টিন পুগ তার সিডিকে ১৭ টেলিস্কোপ দিয়ে ওপরে তাকিয়ে অবিশ্বাস্য এক ঘটনা দেখতে পান৷ তিনি দেখেন, একটি গ্রহের জন্ম হচ্ছে৷ এরপর অনেকবার পরিষ্কার আকাশের রাতে এই অস্ট্রেলিয়ান তথ্য সংগ্রহ করেন এবং আলোর যথাযথ পরিমাপ নেন৷ পরে ২৩ ঘণ্টা ধরে তিনি হাইড্রোজেন ঘূর্ণির এই ছবি তোলেন৷
ওপরে তাকালে কী দেখা যায়?
একজন মহাকাশবিজ্ঞানী ও ফটোগ্রাফারের শৈল্পিক সংযোগ ঘটলে কী হয় তা দেখা যায় এই ছবিতে৷ মহাকাশের মিল্কিওয়ের গ্যালাক্টিক কোরের এমন চমৎকার ছবিটি তুলেছেন জে ইভান্স৷ এই অজি তার দেশের লোহা ও ইস্পাত শিল্পের আইকনিক বিল্ডিং লিথগো ব্লাস্ট ফারনেসের ভেতর থেকে এই ছবিটি তুলেছেন একটি হাইরেজ্যুলেশন ক্যামেরা দিয়ে৷
শুক্রের গ্রাস
সেদিন চিলির ইএসও অবজারভেটরি থেকে সেদিন মহাকাশকে এমন পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল৷ জটিল একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে ফটোগ্রাফার সেবাস্টিয়ান ভল্টমার এই ছবিটি তোলেন, যেখানে শুক্রকেও আলোকিত দেখাচ্ছে৷ এই একটি ছবি তৈরিতে তার মোট ৯৬টি ছবি লেগেছিল৷
লফোটেন দ্বীপের নর্দার্ন লাইটস
জার্মান ফটোগ্রাফার আন্ড্রিয়াস এটল নরওয়ের লফোটেন দ্বীপে এই ছবি তোলেন৷ আর্কটিক সার্কেলের নীচের এই জায়গাটি থেকে পৃথিবীর অন্যতম চমৎকার অরোরা বোরিয়ালিস দেখা যায়৷ তিনি এর নাম দিয়েছেন ‘হামনয় লাইটস’৷
ছায়াপথের সাম্যতার ছবি
ফটোগ্রাফার অ্যান্ডি কেসলি একটি অতি উচ্চক্ষমতার টেলিস্কোপ দিয়ে এই অতিপ্রাকৃতিক মুহূর্তটুকু তুলে এনেছেন৷ গেল বছরের গ্রীষ্মে চাঁদের পেছনে উকি দেয়া শনির ছবি তোলেন৷
লন্ডনের ওপরে চাঁদ
তিনটি ব্যর্থ চেষ্টার পর ব্রিটিশ ফটোগ্রাফার ম্যাথু ব্রাউনি লন্ডনের পূর্ণচন্দ্রিমার এই ছবিটি তোলেন৷ ব্যাটম্যান ছবির গোথাম শহরের আবেশ নিয়ে আসা ছবিটি তুলতে কয়েক মিনিট মাত্র সময় পান তিনি৷
আর্কটিকে রংয়ের খেলা
আর্কটিকের এই রঙ যে কোনো ফটোগ্রাফারের ক্যামেরাতেই অদ্ভুত সব মুহূর্ত উঠে আসে৷ কিন্তু বেন বুশ একে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন এই ছবিটি তোলার মাধ্যমে৷ এর জন্য তাকে অবশ্য মাইনাস ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসে আটলান্টিকের পাড়ে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে হয়েছে৷
ব্রেকিংনিউজ/অমৃ