বর্তমান সময়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ বা র্যামের পরিমাণ। এর সাথে সমান তালে বাড়ছে অ্যাপের বহুবিদ ব্যবহার। এমন অনেক ভারী অ্যাপ রয়েছে যা আপনার ফোনের স্টোরেজে ঘাটতির কারণ হয়ে দাড়ায়। তবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ইন্টার্নাল স্টোরেজ বাঁচানোর কিছু পদ্ধতি আছে। যা অনুসরণ করলে একসঙ্গে অনেকটাই জায়গা বাঁচিয়ে নেওয়া যাবে। চলুন জেনে নেই অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ বাড়ানোর পাঁচটি পদ্ধতি।
SD কার্ডে অ্যাপ ইনস্টল: আমরা সাধারণত কোন অ্যাপ ইনস্টল করলে সবসময় স্মার্টফোনের OS-এ করি। তবে কিছু অ্যাপ মাইক্রো SD কার্ডেও ইনস্টল করতে পারবেন। এতে জায়গাও বাঁচবে এবং স্মার্টফোনটি দ্রুত কাজও করবে।
পুরোনো ডাউনলোড ডিলিট: অনেক সময়ই আমরা বহু ফাইল ডাউনলোডের পর তা ডিলিট করতে ভুলে যায়। এর ফলে ওই ফাইলগুলি জায়গা নিয়ে বসে থাকে। তাই একদিন সময় করে ডাউনলোডস ফোল্ডারে যান। পুরোনো অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলি সিলেক্ট করে দিন ডিলিট টিপে। দেখবেন, অনেকটা হালকা হবে ফোনটি!
গুগল ফটোস: সাধারণ গ্যালারি স্টোরেজ না বাড়িয়ে গুগল ফটোসে ফটো ব্যাকআপ করাই যেতে পারে। এর মাধ্যমে যখন ইচ্ছা ফটো দেখতেও পারবেন পাশাপাশি এডিটও করতে পারবেন। বাড়তি পাওনা গ্যালারি স্টোরেজ কমবে। ফোনও আগের থেকে দ্রুত কাজ করবে।
ক্যাশে ও ডেটা ক্লিয়ার: ফোনের অ্যাপ ম্যানেজারে যান। সেখানে গিয়ে অ্যাপগুলি সিলেক্ট করুন। তারপর তার ডেটা ও ক্যাশে ডিলিট করুন। এতে পুরোনো অ্যাপ পছন্দ মুছে গেলেও একসঙ্গে অনেক GB বেঁচে যায়। তবে মনে রাখবেন, অ্যাপ ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাশে বাড়বে এবং আপডেটের সঙ্গে সঙ্গে ডেটা সাইজ বাড়বে।
লাইট অ্যাপ ব্যবহার: ফেসবুক, মেসেঞ্জারের মতো অ্যাপগুলির লাইট ভার্সন রয়েছে। চাইলে আপনি আপনার ফোনে এসব অল্প এমবির অ্যাপস ইনস্টল করতে পারেন। এতে স্টোরেজ বাড়ে এবং OS-ও ফাস্ট কাজ করে।
ব্রেকিংনিউজ/নিহে