আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়াগো ম্যারাডোনা আর নেই। কিন্তু তাঁর স্মৃতিগুলো এখনও জ্বলজ্বল করছে। ভক্তদের মনে চিরকাল থাকবেন এই কিংবদন্তি। ফুটবল কিংবদন্তী ফুটবলার ম্যারাডোনার সম্পত্তি নিয়ে নতুন হিসেব-নিকেশ শুরু হয়েছে। সারা জীবন কোটি ডলার কামিয়েছেন। নানা বিতর্কে হারিয়েছেনও অনেক। নেশায় বিপথে গেছেন, আইনি ঝামেলা কখনোই তাঁর পিছু ছাড়েনি। আর্থিক ঝামেলায়ও পড়েছেন। শেষ সময়ে খুব বেশি সম্পদ হাতে ছিল না ফুটবলের এই কিংবদন্তির। শেষ জীবনে ম্যারাডোনার অর্থ-সম্পদের পরিমাণও চোখ কপালে তোলার মতো। এক সময়ে যে কিংবদন্তি লাখ লাখ ডলার আয় করেছেন, মৃত্যুকালে তা সম্পদ প্রায় ৮৫ লাখ টাকার মতো!
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস জানিয়েছে, নোপালির সঙ্গে চুক্তির সময় ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বেতনের পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের বাণিজ্যিক দূত হয়ে ১ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। তার ওই ১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের মূল্য এখনকার সময়ে প্রায় দ্বিগুন, ২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের সমান। অথচ শেষ বয়সে রেখে গেছেন হাতেগোনা পরিমাণ সম্পদ।
এক্সপ্রেস ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত্যুর সময় এই ফুটবল কিংবদন্তির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ১ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকার কিছু বেশি। সারা জীবনই বিতর্ক পিছু ছাড়েনি মানুষটির। কর ফাঁকির অভিযোও আছে বিস্তর।
ইতালির আদালতে ২০০৫ সালে কর ফাঁকির জরিমানা হিসেবে ৩ কোটি ৭২ লাখ ইউরো দিতে আদেশ দেন ম্যরাডোনাকে। ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে ইতালির আদালত জানান, আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্তে কিছু ভুল ছিলো। আদালতের দেওয়া নির্দেশে নতুন করে তদন্ত চলছে।
২০০৯ সালে ম্যারাডোনা ইতালিতে গেলে কর আদায়ের জন্য তার শখের কানের দুল খুলে নেয় পুলিশ। এসব ঘটনার জন্য সারা জীবন ইতালীয় কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করে গেছেন ম্যারাডোনা।
২০১৬ সালে ইতালীয় এক পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা বলেন, করের জরিমানা ২০০৩ সালে দিয়ে দিয়েছেন তিনি। তার দাবি সস্ত্বেও ইতালিয়ান কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে জানায়, তার জরিমানার এখনো কয়েক মিলিয়ন ডলার বাকি।
ব্রেকিংনিউজ/এমএইচ