কাতারের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বাংলার রক্ষণদুর্গকে গুড়িয়ে দিলো স্বাগতিক কাতার। মরুর বুকের ম্যাচে নিজেদের দায়িত্বটা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারেনি তপু, বিশ্বনাথ, ইয়াসিন খানরা। অবশেষে লাল-সবুজ জার্সীধারীদের হার মানতে হলো ৫-০ গোলে।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দোহার আব্দুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ছাড়াই মাঠে নেমেছিলো বাংলাদেশ। ম্যাচে শুরু থেকে বাংলাদেশ রক্ষাণাত্মক কৌশলে খেলেও কাতারের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে অন্তত ৫ গোলে এগিয়ে থাকতে পারতো কাতার। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো দুটি নিশ্চিত গোল থেকে দলকে বাঁচিয়েছেন। একটি রক্ষা হয়ে পোস্টে লেগে।
প্রথমার্ধ শেষে বাংলাদেশ পিছিয়ে ২-০ গোলে। ম্যাচের ৪৫তম মিনিটের বেশিরভাগ সময় খেলা হয়েছে বাংলাদেশ সীমানায়। একের পর এক আক্রমণ করে নবম মিনিটে আব্দুল্লাজিজ হাকিমের গোলে এগিয়ে যায় কাতার। ৩৩ মিনিটে আক্রাম আফিফের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ২০২২ বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা।
বিরতিতে যাওয়ার পরেও কাতারের আক্রমণ ছিল অব্যাহত। বিপরীতে জামাল-সুফিলরা প্রতি আক্রমণে উঠে একাধিকবার স্বাগতিকদের সীমানায় বল নিয়ে গেলেও তাদের সেভাবে কোনও সুযোগ দেয়নি স্বাগতিকরা। কিন্তু খুব দ্রুত গতির ফুটবলে বেশ এগিয়ে যান স্বাগতিকরা।
ম্যাচের ৫৫ তম মিনিটে রিয়াদুল হাসান রাফির ভুলে বল পেয়েছিলেন আলাদিন। কিন্তু ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি। এই ফরোয়ার্ডের শট জিকো কর্নারের বিনিময়ে ফেরান। ৬৪তম মিনিটে দূরপাল্লার একটি শট অনেকটা লাফিয়ে ফিস্ট করে ফেরান জিকো। নিশ্চিত হতে যাওয়া গোলটা বাঁচাতে খানিকটা চোটও পান জিকো।
৭০তম মিনিটে বিপলু আহমেদ ডি-বক্সে মোয়েদ হাসানকে ফাউলে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা প্রায় শেষ হয় যায় বাংলাদেশের। ভূল করেননি আল মোয়েজ আলি। স্পট কিক বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়া জিকোর হাত ছুঁয়ে ৩য় বারের মতো জালে জড়িয়ে যায় বল।
ম্যাচের শেষের দিকে সতীর্থের বাড়ানো লং বল বাতাসে থাকতেই আব্দেল আজিজ আড়াআড়ি পাস দেন আলমোয়েজ আলিকে উদ্দেশ করে। বুক দিয়ে ঠেলে ব্যবধান আরও বাড়ান এই ফরোয়ার্ড। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ডি-বক্সের মধ্য থেকে কোনাকুনি শটে নিজের দ্বিতীয় গোল ও স্কোরলাইন ৫-০ করেন আফিফ।
ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে শীর্ষে রয়েছে কাতার। পাঁচ ম্যাচে এক ড্রয়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ১-১ এ ড্র করে পাওয়া এক পয়েন্টই থাকছে লাল-সবুজ জার্সীধারীরা।
কাতারের বিপক্ষে টানা হারের পথচলা আরও দীর্ঘ হলো। আগের পাঁচ ম্যাচের মধ্যে সেই প্রথমবার ২০০৬ সালে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ১-১ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। পরের চার ম্যাচে যথাক্রমে ৪-০, ৪-১, ৩-০ ও ২-০ গোলে হারে তারা।
ব্রেকিংনিউজ/নিহে